যশোরে ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে শতাধিক মানুষের মোবাইল ও সোনার গয়না হারিয়ে গেছে। এ ঘটনায় গত তিন দিনে কোতোয়ালী থানায় প্রায় ৫০০টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপপরিদর্শক (এসআই) শারমিন আক্তার। গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাতে শহরতলী পুলেরহাটের আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এ ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিন ছিল শুক্রবার। এদিন রাতে বক্তব্য রাখেন জনপ্রিয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আহমাদুল্লাহ। তাদের উপস্থিতির খবর পেয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে এলাকায়।
এদিন ওয়াজ মাহফিলে ধাক্কাধাক্কি করে প্রবেশের সময় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এতে ৩০ জন আহত হন বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র। এ ছাড়া মোবাইল, স্বর্ণালংকার হারান অনেকে।
যশোরে আজহারীর মাহফিলে পদদলিত হয়ে আহত ৩০যশোরে আজহারীর মাহফিলে পদদলিত হয়ে আহত ৩০
শনিবার দুপুরে মায়ের দেড় ভরি ওজনের একটি গলার চেইন খোয়া যাওয়ায় রূপদিয়া থেকে কোতোয়ালি থানায় জিডি করতে আসেন ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মা মহিলা প্যান্ডেলে বসে আজহারী হুজুরের ওয়াজ শুনছিলেন। একপর্যায়ে গলায় হাত দিয়ে দেখেন তার হার নেই। তাই জিডি করতে এসেছি।’
একইভাবে স্ত্রীর গলার চেইন হারিয়ে যাওয়ায় থানায় জিডি করতে এসেছিলেন শহরতলীর নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা হজরত হোসেন। তিনি বলেন, ‘ওয়াজ মাহফিলে চুরি হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে গতকাল। চোরেরাও সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’
শহরের বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক উল্লেখ করেন, ‘যশোরের ইতিহাসে এমন বড় মাহফিল হয়নি। মাহফিলের মাঠেই হাজার হাজার মানুষের মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন, কাগজপত্র দেখাতে না পারায় জিডি করতে পারছে না।’
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, তিন দিনব্যাপী বৃহৎ মাহফিল হয়েছে যশোরে। পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছে। এর মধ্যে অসংখ্য মানুষের মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি
পাঠকের মতামত